Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

১৬৩৫৭ শ্রমিক হেল্পলাইন

১৬৩৫৭ টোল ফ্রি হেল্প লাইন

 

চাকরি ছেদ হওয়ার পর বা চাকরি থাকা অবস্থায় মজুরী পাওনা সংক্রান্ত বিষয়ে মালিকের নিকট শ্রম আইনের ধারা ৩৩ অনুযায়ী অভিযোগপত্র (গ্রিভেন্স লেটার) দাখিলের ৩০ দিনের মধ্যে মধ্যে কর্তৃপক্ষ প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের নিকটস্থ উপ-মহাপরিদর্শকের কার্যালয়ে যে কেউ লিখিতভাবে অনুযোগ দাখিল করতে পারেন। এ কার্যালয়ের শ্রম পরিদর্শকেরা যে কোন শ্রমিকের আইনানুগ পাওনা মালিকের নিকট হতে আদায়ে শ্রম আইনের ধারা ১২৪(ক) মোতাবেক সংশ্লিষ্ট সকলের শুনানী গ্রহণের মাধ্যমে লিখিতভাবে সিদ্ধান্ত প্রদান করেন। এছাড়াও প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা হয়। 

 

শ্রম আইনের ১২৪(ক) ধারার বর্ণনা নিন্মরূপ :

”(১) কর্মরত থাকা বা অবসরে যাওয়া বা চাকুরীর অবসান বা বরখাস্তাধীন থাকা ইত্যাদিসহ চাকুরীর যে কোন পর্যায়ে কোন শ্রমিকের বা শ্রমিকদের মজুরীসহ আইনত প্রাপ্য পাওনাদি আপোষ মীমাংসার মাধ্যমে পাওয়ার জন্য প্রধান পরিদর্শক বা প্রধান পরিদর্শক কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট আবেদন করা যাইবে।

(২) এইরূপ আবেদন পাওয়ার পর প্রধান পরিদর্শক বা প্রধান পরিদর্শক কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সর্বোচ্চ ২০ দিনের মধ্যে উত্থাপিত দাবী নিস্পত্তির জন্য সংশ্লিষ্ট মালিক বা কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ-আলোচনা কিংবা আপোষ মীমাংসা বৈঠকের মাধ্যমে নিস্পত্তি করিবার কার্যক্রম গ্রহণ করিবেন।

(৩) এই ধারার অধীনে উত্থাপিত দাবী নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে প্রধান পরিদর্শক বা প্রধান পরিদর্শক কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উদ্যোগ গ্রহণ এবং আলাপ-আলোচনা কিংবা আপোষ মীমাংসার বৈঠকে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করিবেন।

(৪) এইরূপ আলাপ-আলোচনা অথবা আপোষ মীমাংসা বৈঠকের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত পক্ষদের জন্য প্রতিপালন করা বাধ্যতামূলক হইবে।

(৫) এই ধারার অধীনে অনুষ্ঠিত আলাপ-আলোচনা কিংবা আপোষ মীমাংসা বৈঠকে মধ্যস্থতাকারীর সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে উভয় পক্ষকে প্রদান করিতে হইবে।

(৬) শ্রমিক ও মালিক যে কোন পক্ষ বা উভয় পক্ষ এই ধারার অধীনে আপোষ-মীমাংসা বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীর আপোষ মীমাংসা কার্যক্রম সমাপ্তির পর তাহার সিদ্ধান্ত প্রতিপালনে কোন পক্ষ বা উভয় পক্ষ সম্মত না হইলে সংশ্লিষ্ট পক্ষ বা উভয় পক্ষ বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য শ্রম আদালতে মামলা করিতে পারিবেন এবং শ্রম আদালত এইরূপ মামলার বিচারকালে মধ্যস্থতাকারীর সিদ্ধান্ত বিবেচনায় নিবেন।“

 

এছাড়াও ছুটি, কর্মঘন্টা, অধিকাল ভাতা, প্রসূতি কল্যাণ সুবিধা বা অন্য যে কোন আইনানুগ অধিকার প্রাপ্তি হতে বঞ্চিত হলে প্রতিকারের জন্য নিকটস্থ উপ-মহাপরিদর্শকের কার্যালয়ে অভিযোগ দাখিল করা যাবে। অথবা ১৬৩৫৭ টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানানো যেতে পারে। প্রয়োজনে পরিচয় গোপন রাখা হবে।